সরকারিভাবে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আপনিও যদি দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তাহলে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন এই পোস্ট থেকে।
সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় 2024
বাংলাদেশের অন্যতম রাষ্ট্রীয় জনশক্তি প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল এর মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ৬,৭৪৯ জন শ্রমিক দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের সুযোগ পেয়েছে।
প্রত্যেক বছর কোরিয়ান ভাষার দক্ষতা পরীক্ষায় ৭০% এবং লটারির মাধ্যমে ৩০% মানুষ দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ পায়।
সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে আপনাকে বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মীর চাহিদা অনুযায়ী বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ আবেদন জন্য বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
তারপর https://boesl.gov.bd/ সাইটে ভিজিট করে আবেদন ফি ৫০০ টাকা পেমেন্ট করে ট্রানজেকশন আইডি নিতে হবে।
এবার নির্ধারিত ফর্মে পাসপোর্টের কপি, প্রয়োজনীয় সব তথ্য এবং ট্রানজেকশন আইডি উল্লেখ করে https://boesl.gov.bd/ ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র জমা দিবেন । এরপরে আবেদন সম্পন্ন হলে কনফার্মেশন ফর্মটি প্রিন্ট করে সংগ্রহ করবেন।
অতঃপর কোরিয়ান ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা এবং লটারির তারিখ সবকিছুই বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার যোগ্যতা ২০২৪
- ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
- শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান
- কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। কোরিয়ার লিখতে, পড়তে এবং বুঝতে হবে
- আবেদনকারীর সময়সীমা বয়স ১৮ – ৩৯ বছর
- কালার ব্লাইন্ড বা রং বোঝার দক্ষতা থাকতে হবে
- শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকতে হবে। যার প্রমাণস্বরূপ মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে।
- ফৌজদারি অপরাধে জেল বা জরিমানা অথবা শাস্তি হয় নি, এমন প্রার্থী আবেদন করতে পারবে। যার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার খরচ অনেক কম। দক্ষিণ কোরিয়াতে কর্মরত একজন কর্মী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যেতে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়।
বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জসহ প্রায় ৩৪ হাজার টাকা দিতে হয়। আবার ফ্লাইট ভাড়া/ বিমান ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়।
এছাড়া জামানত হিসেবে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এই জামানতের ১ লাখ টাকা পরবর্তীতে ফেরত নেওয়া হবে।সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে এর বাইরে কোন খরচ নেই।
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিছু দালাল সংস্থা ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া দালাল সংস্থার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া সম্পূর্ণ অনিশ্চিত এবং অনিরাপদ।
এজন্য সরকারিভাবে অল্প টাকা খরচ করে নিশ্চিত ও নিরাপদে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
দক্ষিণ কোরিয়াতে অটোমোবাইল, টেক্সটাইল, কৃষিজাত, ফ্যাক্টরি, আইটি সেক্টর, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ড্রাইভিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়া বেতন কত?
দক্ষিণ কোরিয়া কাজের বেতন কাজের ধরন এবং প্রতিষ্ঠানভেদে কম-বেশি হয়ে থাকে। এদেশে একজন কর্মীর বেতন বাংলাদেশী টাকায় নূন্যতম ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়। এছাড়া ওভারটাইম করলে মাসিক বেতন ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
FAQ’s
দক্ষিণ কোরিয়া ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
দক্ষিণ কোরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের ৮.৭১ টাকা।
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
কাজের ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর ও সবোর্চ্চ বয়স ৩৯ বছর লাগবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বনিম্ন বেতন কত?
দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন কর্মীর ন্যূনতম মাসিক বেতন বাংলাদেশী টাকায় ১ লাখ টাকা।
এই ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার কারণে সকলকেই অবশ্যই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী। এ কারণেই আমি বাংলা ভাষায় এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। আশা করি এই ওয়েবসাইটের লেখাগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।