অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করা যাবে। এজন্য এসএসসি বা এইচএসসি সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি লাগবে। এই ডকুমেন্ট এ থাকা জন্ম তারিখ অনুযায়ী এনআইডি কার্ডের বয়স কমাতে পারবেন। https://services.nidw.gov.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বয়স কমানর আবেদন করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানো যায় কিভাবে? কি কি কাগজপত্র লাগবে? ও কত টাকা আবেদন ফি লাগবে জেনে নেওয়া যাক।
ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানো যায় কিভাবে
অনেক আগে যারা এনআইডি কার্ড তৈরি করেছে তাদের অনেকের বয়স কম বেশি আছে। চাইলেই নিজের মতো করে বয়স কমানো বা বাড়ানো যায় না। এজন্য অনেক নিয়ম রয়েছে। স্কুল সার্টিফিকেট বা জন্ম সনদে থাকা বয়স হতে কমানো বা বাড়ানো যাবে না। ঐ কাগজ অনুযায়ী বয়স কম বেশি করতে হবে। এনআইডি কার্ডের বয়স কমানোর জন্য অনলাইনে আবেদন করা লাগবে।
এই কাজ টি ইউনিয়ন বা উপজেলা অফিস থেকে করতে পারবেন। অথবা বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান থেকেও আবেদন করা যাবে। এরপর আবেদন পত্র টি নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দেওয়া লাগবে। এই অফিসে জমা দেওয়া ডকুমেন্ট এর সাথে বর্তমান বয়সে মিল পাওয়া গেলে, ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানো যায়।
ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানোর জন্য আবেদনের নিয়ম
বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় নির্বাচন কমিশন রয়েছে। নির্বাচন কমিশন দ্বারা এনআইডি কার্ড তৈরি থেকে শুরু করে সংশোধনের কাজ করা হয়। সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদনের মাধ্যমেই এনআইডি কার্ডের বয়স সংশোধন করা যাবে। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানোর জন্য https://services.nidw.gov.bd/ এখানে আবেদন করা লাগে। ওয়েবসাইট ওপেন করে একাউন্ট রেজিস্টার করে নিবেন। সঠিক ডকুমেন্ট প্রদান করে অনলাইনে আবেদনের ১০ দিনের মধ্যেই ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানো যাবে।
- প্রথমে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ ভিজিট করে এবং একাউন্ট রেজিস্টার করুন।
- একাউন্ট লগইন করে প্রোফাইল এ প্রবেশ করুন।
- প্রোফাইল অপশনে টিন ধরনের তথ্য দেখা যাবে। এখন প্রোফাইলে থাকা এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এখান থেকে ব্যাক্তিগত তথ্য সংশোধন করা যাবে। যেহেতু বয়স কমাবেন, তাই জন্ম তারিখ টি সঠিক ভাবে লিখুন।
- পরবর্তীতে ক্লিক করুন।
- এখন আপনার পরিবর্তন করা জন্ম তারিখ দেখা যাবে।
- জন্ম তারিখ টি সঠিক থাকলে আবার পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
- এখন আবেদনের পেমেন্ট বা ফি জমা দিতে হবে। অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং থেকে আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
- এখন জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ডকুমেন্ট আপলোড করা লাগবে। যেমন সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম তারিখ প্রমাণ পত্র গুলো স্ক্যান করে সাবমিট করুন।
- এখন আবেদন ফর্ম টি পিডিএফ ডাউনলোড করুন এবং প্রিন্ট করে নিন।
এই ধাপ গুলো ফলো করলে বয়স কমানর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও আবেদন পত্র উপজেলা বা জেলা নির্বাচোন কমিশন অফিসে জমা দেওয়া লাগবে।
ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানোর জন্য কত দিন সময় লাগে?
সঠিক প্রমাণ পত্র ও নির্ভুল ভাবে আবেদন করলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বয়স কমানো যায়। তবে কত দিনের বয়স সংশোধন করবেন তার উপর নির্ভর করে ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানোর জন্য কত দিন সময় লাগে। সাধারণ ৩ বছর পর্যন্ত বয়স সংশোধন এর জন্য মাত্র ৭ দিন সময় লাগবে। আর ৫ বছর বয়স এর জন্য ১৫ দিনের মতো লাগে। চাকরীর বয়স, মুক্তিযোদ্ধা, ভোটার যোগ্যতা, নির্বাচনে প্রার্থীর সীমা, বয়স্কভাতা অর্জনের বয়স সীমা ব্যাতিত ৫ বছর বা তার বেশি বয়স কমানোর জন্য ১ মাস সময় লাগে।
ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানোর জন্য কি কি লাগে?
সঠিক প্রমাণ পত্র না থাকলে কোনো ভাবেই বয়স কমাতে পারবেন না। এজন্য প্রয়োজন বয়স সংক্রান্ত ডকুমেন্ট। বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির সার্টিফিকেট, জন্ম সনদ ও পাসপোর্ট এর মতো ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করা যাবে। ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমানোর জন্য কি কি লাগে? কি কি জমা দিতে হবে জেনেনিন।
- জেএসসি, এসএসসি বা এইচএসসি এর সার্টিফিকেট।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।
- শিক্ষামূলক সনদ না থাকলে পাসপোর্ট বা দ্রাভিং লাইসেন্স।
- সরকারি চাকরিজীবি হলে এমপিও সিট/সার্ভিস বহিএবং কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন/সুপারিশ।
- আবেদন বা সংশোধন ফি স্লিপ।
এই সাধারণ কিছু ডকুমেন্ট হলেই বয়স কমানর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সঠিক ভাবে আবেদন করতে পারলে কম সময়ের মধ্যেই নতুন একটি সংশোধিত এনআইডি কার্ড পেয়ে যাবেন।
বয়স কমানর আবেদন করা খুব সহজ। নিজে আ করলে পারলে সরাসরি নির্বাচন কমিশন বা ইউনিয়ন ও উপজেলা অফিসের মাধ্যমে আবেদন করাবেন। যত কম বয়স কমাবেন, এনআইডি তত দ্রুত সংশোধিত হবে।
এই ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার কারণে সকলকেই অবশ্যই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী। এ কারণেই আমি বাংলা ভাষায় এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। আশা করি এই ওয়েবসাইটের লেখাগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।
Pingback: স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
Pingback: ভোটার আইডি কার্ড বয়স সংশোধন করতে কত টাকা লাগে