নতুন ভোটার হওয়ার আগে ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে তা জানতে হবে। চলুন আজকের পোস্ট থেকে ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা ও কি কি লাগে তা জেনে নেই।
১৮ বছরের নিচে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করা গেলেও ১৮ বছরের বেশি হলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ১৬ বছর বয়স হলেই নতুন ভোটার হওয়া যায়।
যারা নতুন ভোটার হতে চান তারা অনেকেই জানেন না ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সম্পর্কে। চলুন আজকের পোস্ট থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি।
ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
অনেকেই ভাবেন ভোটার আইডি কার্ড করতে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভোটার আইডি কার্ড করতে ১ টাকাও লাগে না। বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভোটার হতে পারবে।
সব থেকে মজার বিষয় হলো, বর্তমানে আপনি নিজেই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আর নিজে যদি ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করতে না পারেন তাহলে যেকোনো একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করে নেবেন। এক্ষেত্রে ৫০-১০০ টাকা খরচ হবে।
কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ ভোটার হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন অফিসের কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকে।
আবার অনেকেই দালালের হাতে পড়ে আবেদনকারীকে ভুলভাল বুঝিয়ে টাকা খাওয়ার ধান্দায় থাকে। এভাবে অনেক সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে।
যদি কোন কর্মকর্তা বা দালাল ভোটার আইডি কার্ড করে দেওয়া জন্য কোন টাকা দাবি করে তাহলে আপনি আইনত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে ২০২৪
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। তাই আসুন জেনে নেই নতুন ভোটার হতে কি কি লাগবে।
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
- পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে)
- আবেদনকারী শিক্ষার্থী হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন হতে নাগরিক সনদপত্র
- ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আগে যে আবেদনকারী ভোটার নিবন্ধন হয়নি, এই বিষয়ে প্রত্যয়ন প্রত্র
- হাল সনের ট্যাক্স/কর পরিশোধের রশিদ
- ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
আপনার নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো দরকার হবে।
ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে?
ভোটার আইডি কার্ড করতে আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এর পাশাপাশি আবেদনকারীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি, পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র, নাগরিক সনদ, পরিশোধিত ট্যাক্স এর কাগজ এবং অঙ্গীকারনামা লাগবে।
এছাড়া আবেদনকারী যদি বিবাহিত হয়ে থাকে তাহলে তার বিয়ের কাবিননামা এবং স্বামী বা স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে?
সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড আবেদনের পরে নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক প্রদানের ১ মাসের মধ্যে অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়ে যায়।
আর ভোটার আইডি কার্ডের হার্ডকপি হাতে পেতে ৩/৪ মাস সময় লাগে। আবারো কখনো কখনো সর্বোচ্চ ৬ মাস পরেও হার্ডকপি হাতে পাওয়া যায়।
তবে ভোটার আবেদনের ১-২ মাসের মধ্যেই অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারেন।
সারকথা
এই ছিল আজকে ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি, নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে ও কি কি লাগে তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এছাড়া আজকের পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো ভোটার আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ভিজিট করুন।
FAQ’s
নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে?
আপনি যদি নিজে নিজে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন এক্ষেত্রে কোন টাকা লাগবে না। তবে বাজারে বা দোকান থেকে আবেদন করতে ৫০-১০০ টাকা লাগতে পারে।
নতুন ভোটার হতে যেসব ডকুমেন্ট লাগে?
নতুন ভোটার হতে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ড, হালনাগাদ ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ, চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র ও নাগরিক সনদপত্র ইত্যাদি ডকুমেন্টস লাগে।
ভোটার আইডি কার্ড করতে কত বয়স লাগে?
বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড করতে আবেদনকারীর বয়স ১৬ বয়স হলেই চলবে।
এই ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার কারণে সকলকেই অবশ্যই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী। এ কারণেই আমি বাংলা ভাষায় এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। আশা করি এই ওয়েবসাইটের লেখাগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।