পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

আপনার জন্ম নিবন্ধন যদি হাতে লেখা হয়ে থাকে তাহলে অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন খুঁজে পাওয়া না গেলে এর কোন মূল্য নেই। 

এ কারণে আজকের পোস্ট থেকে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। তাই চলুন, মূল আলোচনা শুরু করা যাক। 

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য কি কি প্রয়োজন

  • টিকা কার্ড বা এমবিবিএস ডাক্তারের প্রত্যয়ন পত্র 
  • আবেদনকারীর বাবা-মায়ের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি 
  • হাল সনের কর পরিশোধের রশিদ 
  • বাবা-মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে) 
  • আবেদনকারী যদি শিক্ষার্থী হয় তাহলে JSC/SSC/HSC পরীক্ষার সার্টিফিকেট কপি।
  • এছাড়া একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন। 

উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো আগে থেকেই স্ক্যান করে রাখতে হবে। কারণ আবেদন করার সময় উক্ত কাগজপত্র গুলো সরাসরি আপলোড করতে হয়। 

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

ধাপ ১ঃ পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে প্রথমে bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। 

ধাপ ২ঃ তারপরে কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করতে চাচ্ছেন অথবা কোন ঠিকানার অফিস থেকে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তা সিলেক্ট করবেন। জন্মস্থান/স্থায়ী ঠিকানা/বর্তমান ঠিকানা যেকোনো একটি নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। 

ধাপ ৩ঃ এবার নিবন্ধনকারী ব্যক্তির প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। প্রথমে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি ঘরগুলো ফিলাপ করবেন। তারপরে জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা অথবা বর্তমান ঠিকানার ঘরগুলো পূরণ করে দিবেন। তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে করবেন। 

ধাপ ৪ঃ এরপরের ধাপে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির বাব-মার পরিচিতি অর্থ্যাৎ আবেদনকারীর পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। 

ধাপ ৫ঃ এখন নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা যদি একই হয় তাহলে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিলে সব অটোমেটিক পূরণ হয়ে যাবে। আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যান। 

ধাপ ৬ঃ এবার আবেদনকারীর প্রত্যায়ন দিতে হবে। নিবন্ধনকারী যদি নিজে আবেদন করে তাহলে নিজ অপশনে ক্লিক করবেন। এছাড়া পিতা-মাতার হলে সেই অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দেবেন। 

ধাপ ৭ঃ এরপরে নিবন্ধনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। এজন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করতে হবে। তারপরে আপলোড বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করে দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিবেন। 

ধাপ ৮ঃ এই পর্যায়ে আবেদন পত্র নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সচল একটি ইমেইল আইডি অথবা মোবাইল নাম্বার দিয়ে ওটিপি পাঠান অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার ইমেইল আইডি বা মোবাইল নাম্বারে একটি OTP কোড আসবে। সেই কোড দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন। অতঃপর আবারো পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৯ঃ এবার জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি আপনি অনলাইনে অথবা ইউনিয়ন বা পৌরসভায় গিয়েও জমা দিতে পারবেন। আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর রশিদ সংগ্রহ করবেন। 

ধাপ ১০ঃ সবশেষে নতুন আবেদন পত্র প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করবেন। এজন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করার অপশনে যেতে হবে। তারপরে Print Option থেকে More Settings অপশনে যাবেন। এবার Headers and Footers অপশনে টিক দিয়ে প্রিন্ট করবেন। 

তারপর এই প্রিন্ট কপি নিয়ে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন জমা দিবেন। 

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি কত টাকা 

শিশুর বয়স যদি ০ থেকে ৪৫ দিন হয় তাহলে আবেদন করতে ফি লাগে না।

শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি ২৫ টাকা 

শিশুর বয়স ৫ বছরের বেশি হলে আবেদন করতে ৫০ টাকা লাগে।

শেষকথা 

বর্তমানে শিশু, কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ সকলের জন্য জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজনীয় একটি সনদ। এ কারণে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা অপরিহার্য। তাই আপনার জন্ম নিবন্ধন যদি অনলাইন করা না থাকে অথবা অনলাইনে খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে উপরোক্ত পদ্ধতিতে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করুন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top