বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র মায়ের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে গর্ভবতী ভাতা চালু করেছে। প্রত্যেক মাসে গর্ভবতী ভাতা হিসেবে ৮০০ টাকা পাওয়া যায়।
আজকের পোস্টে গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম এবং গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম 2024
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য গর্ভবতী অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করতে হবে।
ইউপি পরিষদ/পৌরসভায় যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে। তারপর আপনার যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকে তাহলে ভাতার আপনি পেয়ে যাবেন।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা
- গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করলেই যে ভাতা পাবেন তা নয়। এ ভাতা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারী পরিবারের মাসিক আয় ২০ হাজার বা তার কম।
- যারা গর্ভবতী ও অন্তঃসত্ত্ব ৫ মাস পর্যন্ত স্তন্যদান করেন।
- শুধু প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের গর্ভাবস্থায় আবেদন করা যাবে।
গর্ভবতী ভাতা করতে কি কি লাগে?
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- অন্তঃসত্ত্বা প্রমাণের জন্য ডাক্তারের নিকট হতে গর্ভবতী সনদপত্রের ফটোকপি
- স্বামীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে)
- ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা হতে চারিত্রিক/নাগরিক সনদপত্র
- ব্যাংক একাউন্টের তথ্য দিতে হবে যার মাধ্যমে টাকা আসবে।
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার নিয়ম 2024
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমে আবেদনকারীর গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। যোগ্যতাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারনকালীন আবেদন করতে পারবে। তৃতীয় সন্তান গর্ভধারণকালীন সময়ে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
- গর্ভবতী মায়ের বয়স বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে।
- পরিবারের মোট মাসিক আয় ১৫০০ টাকার নিচে থাকতে হবে।
- কেবল বসতবাড়ি রয়েছে এবং নিজের বা পরিবারের কোন কৃষি জমি বা অন্য জমি থাকা যাবে না।
- এছাড়া দরিদ্র প্রতিবন্ধী গর্ভবতী মা অগ্রাধিকার পাবেন।
এখন উপরোক্ত যোগ্যতা গুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে অনলাইনে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করা শেষ হলে নিজের ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় জমা দিবেন।
গর্ভবতী ভাতা অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম
- গর্ভবতী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।
- তারপরে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন।
- এবার আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- অতঃপর আবেদন আপলোড করবেন।
এখন আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে গর্ভবতী ভাতা আপনাকে দেওয়া হবে।
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার জন্য সর্বপ্রথম এই http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। তারপরে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে আবেদনকারী গর্ভবতী মায়ের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম ফিলাপ করতে হবে। অতঃপর আপলোড বাটনে ক্লিক করে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করবেন। তারপরে আবেদনের কপি নিজের ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার জমা দিতে হবে।
FAQ’s
গর্ভবতী ভাতা কবে চালু হয়?
গর্ভবতী ভাতা গ্রামীণ এলাকায় ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এবং শহর এলাকায় ২০১০-১১ অর্থবছরে চালু করা হয়।
বাচ্চা জন্মের পর গর্ভবতী ভাতা পাওয়া যাবে কি?
বাচ্চা জন্মানোর পরেও গর্ভবতী ভাতা পাওয়া যাবে। তবে বাচ্চা জন্মের পরে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৪
গর্ভবতী ভাতা হিসেবে প্রত্যেক মাসে ৮০০ টাকা প্রদান করা হয়। এভাবে গর্ভবতী দরিদ্র মায়েরা এ ভাতা থেকে সর্বমোট ১৯,২০০ টাকা পাবে।
গর্ভবতী ভাতার বয়সসীমা
গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার সময়সীমা ২০ থেকে ৩৫ বছর। এছাড়া শুধু প্রথম দুই সন্তানের জন্য এ ভাতা পাওয়া যাবে।
এই ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার কারণে সকলকেই অবশ্যই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরী। এ কারণেই আমি বাংলা ভাষায় এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। আশা করি এই ওয়েবসাইটের লেখাগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।